ত্রিপুরা
img

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালিত

১৪ জন রক্ত সঞ্চালনার জনক'  কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের জন্মদিন, এই দিনটি 'বিশ্ব রক্তদাতা দিবস' হিসেবে গোটা বিশ্বে গৌরবের সাথে উৎযাপিত হয়।
এই বিশেষ দিনে মুমূর্ষু রোগীর জীবন রক্ষায় রক্তদানের মহত্ত্বকে সম্মাননা জানাতে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর কর্তৃক রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছেলের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে তিনি রাজ্যবাসীকে  রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করলেন।১৪ জুন কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের জন্মদিন। গোটা বিশ্বের পাশাপাশি রাজ্যেও এই দিনটি বিশ্ব রক্তদাতা হিসাবে পালিত হল। বিশ্বরক্তরতা দিবস উপলক্ষে প্রজ্ঞা ভবনে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফ থেকে আয়োজিত হয় একটি অনুষ্ঠানের। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেন,কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার প্রথম রক্তের গ্রুপ রয়েছে সেই বিষয়টি আবিষ্কার করেছিলেন। তাকে সম্মান জানাতে ২০০৫ সাল থেকে তার জন্মদিনটিকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে গোটা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ত্রিপুরার ব্লাড ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন সময়ে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় গুলোতে ব্লাড ব্যাংক গুলোতে রক্তের যোগান কমে যায়। এই সমস্যা থেকে বের হতে গেলে এক দেশ এক ভোট প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাই দেশে এক দেশ এক ভোট প্রক্রিয়াকে চালু করার চেষ্টা করছেন। আর এই প্রক্রিয়া দেশে যত তাড়াতাড়ি শুরু হয় ততই মঙ্গল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের সময়েও রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়েছিল। তাই রক্তের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে নিয়মিতভাবে সবাইকে রক্ত দান করতে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষ অত্যন্ত সচেতন। যখনই রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তখন সরকারের তরফ থেকে আহ্বান জানালে রাজ্যের মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্তদানে এগিয়ে আসেন। তবে একদিনেই কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে  রক্তদান করা হবে এই সীমাবদ্ধতা রাখলে চলবে না। তার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রক্তদানের জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। এই ক্যালেন্ডারের সুচি অনুযায়ী রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে হবে। রক্তের কোন বিকল্প নেই। জীবন বাঁচাতে রক্তই হচ্ছে সব থেকে বড় ঔষধ। কিন্তু এই রক্ত অন্যান্য  সামগ্রীর মত বাজার থেকে কেনা সম্ভব নয়। তাই রক্তদান করার মতো মহৎ কাজ আর কিছু হতে পারে না। একজন মানুষের রক্তদানের মাধ্যমে তিনজন রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।