ত্রিপুরা
img

অসামাজিক কাজের অভিযোগে সিল করা হয় বিউটি পার্লার

ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর থানার নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে এক বিতর্কিত বিউটি পার্লার –  দি ইউনিক ক্রিয়াকশন ফ্যামিলি সেলুন । চমকপ্রদভাবে,ধর্মনগর থানার বিপরীতে দীর্ঘদিন ধরে এই সেলুনে চলছে সন্দেহজনক কার্যকলাপ। সেলুনটির দেখভাল করেন সৌরভ মজুমদার বাবা সনজিৎ মজুমদার।বাড়ি আগরতলার রানিরবাজার দুর্গাপুরে


বিউটি পার্লার বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ধর্মনগর থানার ইন্সপেক্টর হরেন্দ্র দেববর্মা ও মহিলা পুলিশের একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালায় ওই সেন্টারে। অভিযানের সময় সেন্টারের ম্যানেজার পলাশ নামক ব্যক্তি হঠাৎ দৌড়ে পালিয়ে যায়—যা পুরো ঘটনার রহস্য আরও ঘনীভূত করে তোলে।তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ চারজন মহিলা কর্মীকে পায়, যারা জানায় তারা সেন্টারে "ম্যাসাজ সার্ভিস" দেয়। চমকপ্রদভাবে, স্পা সেন্টারটিতে মোট চারটি আলাদা ঘর ছিল, যেখানে "ম্যাসাজের" কাজ চলত। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি মেয়েদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা না গেলেও, সর্বদা পুরুষদের আনাগোনা ছিল লক্ষণীয়।এই বিউটি সেন্টারের নিচেই রয়েছে আইএফএল ব্যাংক এবং আরও একাধিক সম্মানজনক দোকান। তবুও তিন মাস আগে খোলা এই পার্লারের ছিল না কোনও বৈধ ট্রেড লাইসেন্স,যা ব্যবসার জন্য বাধ্যতামূলক।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ বিউটি সেন্টারটি সিল করে দেয় এবং সমস্ত নথিপত্র জব্দ করে তদন্তে নিয়ে যায়।স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এর আগেও ধর্মনগরের নয়াপাড়ায় অনুরূপ ঘটনায় কয়েকজন মহিলা আটক হয়েছিল, যার পেছনেও মূল ষড়যন্ত্রী ছিল ওই সৌরভ মজুমদার।ধর্মনগরের নাগরিক মহলে উত্তেজনা ও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। তাঁরা প্রশাসনের কাছে কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ ও শহরের যুব সমাজকে এ ধরনের পরিবেশ থেকে বাঁচানোর জন্য জোরালো দাবি তুলেছেন।সোজা কথায়, ধর্মনগরের বুকে প্রশাসনের চোখের সামনেই এক লজ্জাজনক অধ্যায় রচিত হচ্ছিল, যার মুখোশ আজ খানিকটা হলেও উন্মোচিত। এখন দেখার, পুলিশী তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়।