
শনিবার সন্ধ্যা রাতে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নিয়ে শনিছড়া প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান বাগবাসার বাসিন্দা গোপাল দাস । পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক না পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পান ইমার্জেন্সীতে ডিউটিরত আছেন বিশ্বনাথ চাকমা, কিন্তু তিনি নিজের কোয়ার্টারে রয়েছেন। তড়িঘড়ি ছুটে যান সেখানে কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পান চিকিৎসক বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় মত্ত রয়েছেন। একাধিকবার কাকুতি মিনতি করে উনার স্ত্রী বিচিত্রা মালাকারকে দেখার জন্য বললেন তখন চিকিৎসক তাকে চেম্বার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। অবশেষে গোপাল দাস চিকিৎসকের কথা না শুনে ভেতরে প্রবেশ করে রোগীর কথা বলেন তখন চিকিৎসক নিজের মনগড়া কিছু ওষুধ লিখে দেন প্রেসক্রিপশনে এবং বলেন ভিজিট ৫০০ টাকা দেওয়ার জন্য। তখনই দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। তিনি বলেন আপনি ইমারজেন্সিতে ডিউটিতে রয়েছেন তাছাড়া আপনি নিজের কোয়ার্টারে বসে রয়েছেন অথচ এখন ভিজিট দাবি করছেন। এই বাক্ বিতণ্ডার দৃশ্য নিজের ফোনে বন্দী করে নেয় গোপাল। পরে সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চলে যান এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। রবিবার দুপুরে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সম্পূর্ণ ঘটনা বলেন ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। এখন দেখার এইসব মর্জিমাফিক ডিউটি করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা। এভাবে আরো একাধিক অভিযোগ পূর্বেও দেখা গিয়েছিল হাসপাতালে।