
যাতায়াতের দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটছে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট ব্লকের অধীন পংছড়া এডিসি ভিলেজ এলাকার উপজাতি গ্রামের মানুষের। সেতুর অভাবে নদীর জল পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে আসতে হয় কচিকাঁচা পড়ুয়াদের। যুগ যুগ ধরে এই অবস্থা চলে আসলেও নিরব পাহাড় এবং সমতলের প্রশাসন।
ত্রিপুরায় দুর্বিষহ সহ হয়ে উঠেছে এডিসি এলাকার জনজাতিদের জীবনযাত্রা। নদী পারাপারের জন্য কাছাকাছি নেই সেতু। তাই নদীর জল ডিঙিয়েই যোগাযোগ ব্যাবস্থা চলছে দুই গ্রামের মধ্যে। শুধু তাইনয়, বর্ষার সময় বড় বড় গামলায় বসিয়ে পড়ুয়াদের নদী পার করে দিতে হয় অবিভাবকদেরকে। বিশ্বাস হচ্ছেনা তো? তাহলে চলুন আজ ত্রিপুরার এমনই একটি উপজাতি গ্রামের সাথে পরিচয় করাবো আপনাদের।ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট ব্লকের অধীনে রয়েছে পংছড়া নামের এই উপজাতি গ্রামটি। প্রায় ষাট থেকে সত্তর পরিবারের বসবাস এই গ্রামটিতে। তবে গ্রামটিকে দ্বিধাবিভক্ত করে দিয়েছে একটি দেও নদী। নদীর উপর একটি লোহার ঝুলন্ত সেতু থাকলেও তা দুই গ্রামের যোগাযোগের জন্য অনেকটা দূরে এবং সেটির অবস্থাও সংষ্কারের অভাবে বর্তমানে নরবড়ে। বিভিন্ন জায়গায় গ্রামের রাস্তাও দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে নদীর জলের তোড়ে। সেখানে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলছে যাতায়াত।
গ্রামের বাসিন্দা প্রনব চাকমা জানান, পংছড়া গ্রামকে দুইভাগে ভাগ করে দিয়েছে দেও নদীটি। আর সেই নদীর জল পেরিয়েই চলাচল করতে হয় তাদেরকে। গ্রামের অনেকটা দূরে রয়েছে একটি ঝুলন্ত সেতু। তার অবস্থাও সংস্কারের অভাবে বর্তমানে চরম শোচনীয়। মেরামতের অভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে সেতুর বিভিন্ন অংশে। তিনি জানান,গ্রামের মানুষের জীবিকা নির্ভর করে বনের বাঁশ কেটে বাজারে বিক্রি করার উপর। আর নদীতে সেতু না থাকায় কখনো হাঁটু জল কিংবা কোমর জল এমনকি গলা জল পেরিয়েও বিক্রির সরঞ্জাম বাজারজাত করতে হয় তাদেরকে। এলাকার বিদ্যুতের সমস্যাও উঠেআসে তার বক্তব্যে। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় দুটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো বানিয়েই বর্তমানে এডিসি প্রশাসন তাদের দায়িত্ব খালাস করেছে বলে অভিযোগ। তিনি জানান, এটি ভেঙে পড়বে চলতি বর্ষা মরসুমে। তখন বরাবরের মতোই গ্রামের মানুষকে হাত লাগিয়ে তৈরী করতে হবে তাদের যাতায়াতের সাঁকো