
গত পয়লা মে আগরতলা থেকে সাধারণ বাইসাইকেল চালিয়ে লেহ -লাদাখ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন,, প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার রাস্তা বাই সাইকেল চালিয়েছেন আগরতলার ধলেশ্বরের বাসিন্দা অজয় সাহা নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন মাত্র ৬০ দিনে।
১৮ জুলাই তিনি রাজ্যে ফিরে এসেছেন। ৫৯ বছর বয়সে একটি বাইসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ধর্ষ সাহসিকতা নিয়ে লেহ লাদাখ জয়ী রাজ্যে সম্বর্ধনায় ভাসছেন। শনিবার তাকে সংবর্ধনা দিল শ্রেষ্ঠ ভুবন সামাজিক সংস্থা।
মনের জোর এবং লক্ষ্য যদি স্থির থাকে তাহলে বয়স কোন ফ্যাক্টর নয় সেটা আবারো প্রমাণ করে দিলেন ৫৯ বছরের প্রতিষ্ঠিত বস্ত্র ব্যবসায়ী ধলেশ্বর দেবেন্দ্র দেবনাথ রোডের বাসিন্দা অজয় কুমার সাহা। সাধারণ একটি সাইকেল নিয়ে তিনি জয় করে এলেন লেহ লাদাখ। মাত্র ৬০ দিনে নিজের ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান তিনি। দেশের এক উদ্বেগপূর্ণ সময়ে লেহ লাদাখের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাইকেলে ঝুলিয়ে সাইকেলের প্যাডেলে চাপ দিয়েছিলেন অজয়। তার এই দুর্ধর্ষ যাত্রার পেছনে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতবর্ষের আগামী প্রজন্মকে কিছু সচেতনতা মূলক বার্তা দেওয়া।নিজের সচেতনতামূলক বার্তার মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন,
সর্বদা সাইকেল চালাও এবং নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখো, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখো, এবং নিজের উপার্জিত অর্থ সাশ্রয় কর। শনিবার লেহ লাদাখ জয়ী অজয় সাহার বাসভবনে গিয়ে শ্রেষ্ঠ ভুবন সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। এই সংবর্ধনায় আপ্লুত অজয় কুমার সাহা। তিনি জানিয়েছেন, সম্মান পাবেন বা তাকে এভাবে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে এই ভেবে তিনি সাইকেলে লেহ- লাদাখ যাত্রা করেন নি। সমাজকে সচেতন করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি বোধজং স্কুলের ৮৩ ব্যাচের সহপাঠী বন্ধুরা যেভাবে তার এই সাইকেল যাত্রাকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছেন সে বিষয়টিও তিনি এদিন নিজের বক্তব্যের উল্লেখ করলেন।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব কান্তি ভৌমিক সহ অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পরে বিপ্লব কান্তি ভৌমিক বলেন, পেশায় অজয় সাহা ব্যবসায়ী হলেও যে অসীম সাহসিকতায় তিন সাধারণ বাইসাইকেল নিয়ে লেহ লাদাখ পাড়ি দিয়েছেন, তা রাজ্যকে গর্বিত করেছে। কেন বাইসাইকেল চালানো উচিত সে ব্যাপারে সে সামাজিক বার্তা অজয় সাহা দিয়েছেন তা অত্যন্ত মূল্যবান বলে দাবি করলেন বিপ্লব বাবু।